ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১ এর ২৬খ (১) ধারার বিধান পরিপালন সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংক সার্কুলার
রপ্তানিমুখী শিল্প খাতের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা দিতে যে ৫০০০ কোটি টাকার তহবিল গঠন করা হয়েছে, সেই তহবিল থেকে ব্যাংক যে ঋণ দেবে তা একক ঋণগ্রহীতার সীমা হিসাবের বাইরে থাকবে।
আজ শনিবার ১১ এপ্রিল, ২০২০ বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
নিয়ম অনুযায়ী, একক গ্রাহককে ফান্ডেড, নন-ফান্ডেড মিলে একটি ব্যাংক তার মোট মূলধনের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ ঋণ দিতে পারে। এ ঋণ সীমা অতিক্রম করলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনাপত্তি নিতে হয়। এখন রপ্তানিমুখী শিল্পখাতের শ্রমিকদের বেতন ভাতা দেওয়া তহবিলে মালিকদের যে ঋণ দেওয়া হবে সেটি একক ঋণগ্রহীতার সীমা হিসাবায়নের বাইরে থাকবে।
এ বিষয়ে সার্কুলারে বলা হয়েছে ব্যাংক কোম্পানি আইন ১৯৯১ এর ১২১ ধারার ক্ষমতাবলে তফসিলী ব্যাংকে আলোচ্য তহবিল হতে প্রদত্ত ঋণে একক ঋণগ্রহীতার সর্বোচ্চ সীমা হিসাবায়নের ক্ষেত্রে ব্যাংক কোম্পানি আইন ১৯৯১ এর ধারা ২৬(খ) এর উপধারা-১ এর বিধান পরিপালন হইতে সাধারণভাবে অব্যাহতি প্রদান করা হলো।
ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন। |
গত ০২ এপ্রিল, ২০২০ রপ্তানিমুখী শিল্প খাতের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা দিতে ৫০০০ কোটি টাকার তহবিল গঠন করে সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই সার্কুলার অনুযায়ী, এ তহবিল থেকে কেবল সচল রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকরা ঋণ পাবেন। এজন্য তাদের এককালিন গুনতে হবে দুই শতাংশ সার্ভিস চার্জ। ছয় মাসের গ্রেস পিরিয়ডসহ এই ঋণের টাকা পরিশোধে সময় পাবে ২ বছর।