মোবাইল ব্যাংকিংয়ে গ্রাহক সংখ্যা ৭ কোটি ৮৫ লাখ
গ্রাহকের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিদিনই বাড়ছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেনের পরিমাণও। এই লেনদেনে নতুন নতুন সেবা যুক্ত হওয়ায় কম সময়েই অধিক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে মোবাইল ব্যাংকিং। গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ৮৫ লাখে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১০১৯ সালের নভেম্বর মাসে মোট ৩৭ হাজার ৭৬৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে মোবাইলের মাধ্যমে। যা তার আগের মাসের চেয়ে ১৫৭ কোটি টাকা বেশি।
মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেনের সাথে যুক্ত হয়েছে বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিল অর্থাৎ সেবা মূল্য পরিশোধ, কেনাকাটার বিল পরিশোধ, বেতন-ভাতা প্রদান, বিদেশ থেকে টাকা পাঠানো অর্থাৎ রেমিট্যান্স প্রেরণসহ বিভিন্ন সেবা। একারণেই এই পদ্ধতির জনপ্রিয়তা বাড়ছে বলে মনে করেন ব্যাংকাররা।
গত বছরের নভেম্বর মাস শেষে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার আওতায় নিবন্ধিত গ্রাহকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ৮৫ লাখ। আর একক মাস হিসাবে এই মাসে লেনদেন হয়েছে ৩৭ হাজার ৯১৯ কোটি টাকা। আগের মাস অক্টোবরের তুলনায় যা প্রায় শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ বেশি।
ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন। |
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে মোট ১৬টি ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিংয় সেবা দিচ্ছে। টানা ৩ মাস একবারও লেনদেন করেনি এমন হিসাবকে নিষ্ক্রিয় হিসাব বলে গণ্য করে থাকে মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। সেই হিসাবে নভেম্বর শেষে সক্রিয় গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৫০ লাখ ৯২ হাজার।
প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, নভেম্বর মাসে প্রায় সব ধরনের সেবায় লেনদেন বেড়েছে। এই সময়ে মোবাইল ব্যাংকিং হিসাবগুলোতে টাকা জমা পড়েছে ১৩ হাজার ৪০৮ কোটি টাকা। উত্তোলন করা হয়েছে ১২ হাজার ৬৯৮ কোটি টাকা। ব্যক্তি হিসাব থেকে ব্যক্তি হিসাবে অর্থ স্থানান্তর হয়েছে ৯ হাজার ৯৯ কোটি টাকা। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা বিতরণ হয়েছে ৮৭০ কোটি টাকা। বিভিন্ন সেবার বিল পরিশোধ করা হয়েছে ৪৬৫ কোটি টাকা। কেনাকাটার বিল পরিশোধ করা হয়েছে ৪৩৭ কোটি টাকা। সরকারি পরিশোধ ২৯৪ কোটি টাকা। এছাড়া অন্যান্য হিসাবে লেনদেন হয়েছে ৬২১ কোটি টাকা।