মাসিক সঞ্চয় প্রকল্প/ ডিপিএস হিসাব খোলার নিয়ম
মাসিক সঞ্চয় প্রকল্প যা ডিপিএস/এপিএস/পেনশন স্কীম নামে বহুল প্রচলিত যদিও বিভিন্ন ব্যাংকে এর ভিন্ন ভিন্ন নাম রয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় আপনি প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমান কিস্তি একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ (যেমন ৩/৫/৭/১০ বছর) পর্যন্ত জমা দিয়ে ওই নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে আকর্ষণীয় সুদ/মুনাফাসহ আপনার জমাকৃত টাকা ফেরৎ পাবেন। যে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এই হিসাব খুলতে পারে।
মাসিক সঞ্চয় প্রকল্প/ডিপিএস হিসাবের বৈশিষ্ট্য
১. প্রতি মাসে কত টাকা জমা করতে চান এবং কত দিনের জন্য জমা করতে চান তা আপনি নির্ধারণ করবেন অথবা ব্যাংক আপনাকে বিভিন্ন অপশন দেবে তা থেকে নির্বাচন করবেন (হিসাব খোলার সময়ই কিস্তির হার ও মেয়াদ নির্ধারণ করতে হবে। পরবর্তীতে তা পরিবর্তন করা যাবে না)।
২. প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে কিস্তির টাকা জমা দিতে হবে।
৩. নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে আকর্ষণীয় সুদ/মুনাফাসহ আপনার জমাকৃত টাকা ফেরৎ পাবেন।
৪. যদি কোনো মাসের কিস্তির টাকা জমা দিতে ব্যর্থ হন তাহলে পরবর্তী মাসে সামান্য কিছু জরিমানা সহ কিস্তির টাকা জমা দিতে পারবেন। তবে পরপর তিনটি মাসিক কিস্তি দিতে ব্যর্থ হলে, ব্যাংক আপনার হিসাব বন্ধ করে দিতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনি আসল টাকা ফেরৎ পাবেন আর সুদ/মুনাফা পাবেন সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের পলিসি অনুসারে।
৫. ব্যাংক ভেদে কিস্তির পরিমান, মেয়াদ এবং সুদ্/মুনাফার পরিমানে তারতম্য থাকে। কোন ব্যাংকে কত টাকা মাসিক কিস্তি দিয়ে কত বছরে কত টাকা পাবেন তা সেই ব্যাংক থেকে জেনে নিন।
৬. সাধারনত বিশেষ প্রয়োজনে আপনার জমাকৃত টাকার ৮০%-৯০% পর্যন্ত ব্যাংক ঋন/কর্জ গ্রহন করতে পারবেন।
৭. নির্দিষ্ট মেয়াদের পূর্বেই হিসাবটি বন্ধ করতে পারবেন, সেক্ষেত্রে ব্যাংকের পলিসি অনুযায়ী আপনাকে মুনাফা/সুদ প্রদান করা হবে।
৮. সাধারনত যেকোনো ব্যাংকে যতটি খুশি ততটি মাসিক সঞ্চয় প্রকল্প খুলতে পারবেন।
৯. নিজ নামে অথবা যৌথ নামে একাউন্টটি খুলতে পারবেন।
১০. সাধারণত মাসের যেকোনো কার্যদিবসে এই একাউন্ট খুলতে পারবেন।
১১. শুধুমাত্র বাংলাদেশী নাগরিকগণ এই একাউন্ট খুলতে পারবেন।
মাসিক কিস্তি জমাদানের পদ্ধতি
ক) সরাসরি নগদ টাকা একাউন্টে জমা দান করতে পারেন অথবা
খ) আপনার যদি উক্ত ব্যাংকে সঞ্চয়ী হিসাব থেকে থাকে তাহলে ব্যাংকে নির্দেশনা প্রদান করলে ব্যাংক আপনার সঞ্চয়ী হিসাব হতে প্রতি মাসে কিস্তির টাকা কেটে মাসিক সঞ্চয় হিসাবে জমা করবে। তবে সেক্ষেত্রে আপনার সঞ্চয়ী হিসাবে মাসিক কিস্তির সমপরিমান অর্থ জমা রাখতে হবে।
গ) ইন্টারনেট ব্যাংকিং বা মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে কিস্তির টাকা জমা দিতে পারবেন যদি সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের এই সুবিধা থাকে।
এই হিসাবের সুবিধা সমূহ
১. ঝামেলা কম।
২. সুদ/মুনাফার হার বেশি।
৩. এর বিপরীতে ৮০%-৯০% ঋণ/কর্জ গ্রহন করা যায়।
৪. মেয়াদ পূর্ণ হলে টাকা উত্তোলন না করলে সেভিংস এর রেটে অতিরিক্ত সুদ/মুনাফা পাওয়া যায়।
৫. ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখায় গ্রাহকের সঞ্চয়ী/চলতি হিসাব থাকলে তা হতে অটোম্যাটিক কিস্তির টাকা স্থানান্তরের সুবিধা।
৭. অন্য শাখা থেকে অনলাইনের মাধ্যমে বা এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট থেকে কিস্তির টাকা জমা দেয়া যায়।
৮. ইন্টারনেট ব্যাংকিং বা মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে কিস্তির টাকা জমা দেয়া যায়।
ব্যাংক, ব্যাংকার, ব্যাংকিং, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রতিবেদন, বিশেষ কলাম, বিনিয়োগ/ লোন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ফিনটেক, ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারগুলোর আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ 'ব্যাংকিং নিউজ', ফেসবুক গ্রুপ 'ব্যাংকিং ইনফরমেশন', 'লিংকডইন', 'টেলিগ্রাম চ্যানেল', 'ইন্সটাগ্রাম', 'টুইটার', 'ইউটিউব', 'হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল' এবং 'গুগল নিউজ'-এ যুক্ত হয়ে সাথে থাকুন। |
এই হিসাব খোলার নিয়মাবলী
ক. যে কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ এ ধরনের হিসাব খুলতে পারেন।
খ. ব্যাংক নির্ধারিত আবেদন ফরম পূরণ করতে হয়।
গ. নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা দিতে হয়।
ঘ. গ্রাহকের এক কপি ছবি অন্য হিসাবধারী দ্বারা সত্যায়িত।
ঙ. জাতীয় পরিচয়পত্র/ পাসপোর্ট/ ড্রাইভিং লাইসেন্স এর সত্যায়িত ফটোকপি।
চ. গ্রাহক দ্বারা সত্যায়িত নমিনীর এক কপি ছবি।
ছ. নাবালকের পিতা-মাতা বা কোর্ট কর্তৃক অভিভাবকত্ব গ্রহন করে নাবালকের পক্ষে নাবালক হিসাব খুলতে পারেন। এক্ষেত্রে নাবালকের জন্ম সনদের ফটোকপি এবং আইনগত অভিভাবকের ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্র/ পাসপোর্ট/ ড্রাইভিং লাইসেন্স এর সত্যায়িত ফটোকপি।
জ. TIN সার্টিফিকেট (যদি থাকে)।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ
আপনি যদি আয়কর প্রদানকারী হয়ে থাকেন এবং আপনার যদি E-TIN নাম্বার থেকে থাকে এবং ব্যাংক হিসাব খোলার সময় যদি TIN সার্টিফিকেট এর ফটোকপি জমা দেন তাহলে ব্যাংক আপনাকে যে সুদ/মুনাফা প্রদান করবে তার উপর (আপনার জমাকৃত টাকার উপর নয়) ১০% হারে আয়কর কেটে নিবে অন্যথায় ব্যাংক আপনার প্রাপ্য সুদ/মুনাফার উপর ১৫% হারে আয়কর কেটে নিবে।
প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স লিমিটেড-এ একটি ডিপিএস চালু করেছিলাম। সতেরোটি কিস্তি (১০০০ করে) দিয়ে আর দিতে পারিনি। আজ অনেকদিন লেনদেন বন্ধ। আমি টাকাগুলো কি পাব?
স্যার আমি একটা ডি পি এস একাউন্ট খুলতে চাই। আমার কি কি লাগবে আর কি কি করতে হবে বলবেন। তাহলে আমার একাউন্ট খুলতে সুবিধা হবে
https://www.bankingnewsbd.com/islami-bank-mudaraba-special-savings-pension-account-mssa/
আমি ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুইরেন্সে ১০ মেয়াদে একটি ডিপিএস খুলেছি, আমি ২ বছরের কিস্তি দেয়ার পর সমস্যার কারণে আর দিতে পারি নি, এখন আমি কি টাকা গুলো পাবো??
ডিপিএস এর লভাংশ, এটা হালাল না হারাম?
ব্যাংক ভেদে এটা হালাল এবং হারাম হয়ে থাকে (ইসলামিক ব্যাংক ও প্রচলিত ব্যাংক)।
পূবালী ব্যাংকের ডিপিএস একাউন্ট থেকে লোন নিতে চাই কতো হারে সুদ দিতে হবে?
পূবালী ব্যাংকের যেকোন শাখায় যোগাযোগ করুন, ধন্যবাদ।
ডিপিএস মেয়াদ শেষে নমিনি কি সেই টাকা তুলতে পারবে? যদি উনি অনুপস্থিত থাকে?
না, পারবে না৷
যৌথ নামে ডিপিএস করলে কি সেই একই নামেই নমিনী দেয়া যাবে?
AMI BAHRAIN ACHI, ONLINE MADDHOME DPS CHALU KAROTE PARBO? AMAR ISLAMI BANK ECCAUNT ACHE. AMI I-BANKING ER MADDHOME LENDEN KORI.
জি, পারবেন৷
মাসিক জমার ভিত্তিতে ১০ বছর মেয়াদি যদি মিলেনিয়াম ১ টি স্কিম খোলা হয়, তখন যদি রেট ৯ থাকে পরবর্তীতে কি ব্যাংক এই ১০ বছরের মধ্যে রেট কি কমাতে পারে।